রাজধানীর বঙ্গবাজারে পোশাকের পাঁচটি দোকান ছিল মো. মনসুরের। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সবগুলো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকান থেকে তিনি কিছুই বের করতে পারেননি। সব হারিয়ে এখন হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন তিনি।
ব্যবসায়ী মনসুরের দাবি, ২৫ বছর ধরে বঙ্গবাজারে ব্যবসা করছেন তিনি। তাঁর পুড়ে যাওয়া পাঁচটি দোকানে প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল ছিল। এখন কিছুই অবশিষ্ট নেই। সব পুড়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবাজারের সামনের ফুটপাতে বসে ছিলেন মনসুর। একদৃষ্টে দেখছিলেন আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তৎপরতা। কাছে গিয়ে কথা বলতেই জানালেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল সোমবার রাতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল তুলেছিলেন। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মনসুর বলেন, ‘দোকান থেকে মালামাল কিছুই সরাতে পারিনি। মার্কেটের ভেতরে ঢুকতেই পারিনি। ঢুকতে গেলে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসে।’
বঙ্গবাজারের প্রবীণ এই ব্যবসায়ীর দাবি, আগুনে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে গেছে। মনসুর আরও বলেন, ‘ব্যবসা ভালো চলছিল না। ঈদের আগে অনেকেই ঋণ করে দোকানে মালামাল তুলেছিলেন। বিক্রি করে টাকা শোধ করবেন ভেবেছিলেন। আগুন লাগায় সব শেষ হয়ে গেল।’
আজ সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁদের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ভয়াবহ আগুনে বঙ্গবাজারের বহু দোকান একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, পুরো বাজারটিই একরকম শেষ হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ীদের ছোটাছুটি ও কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মিলিত সাহায্যকারী দল ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল এবং একটি হেলিকপ্টার কাজ করছে।