মগবাজারের বিস্ফোরণ শক্তিশালী ককটেল থেকে: পুলিশ
রাজধানীর মগবাজারের একটি পরিত্যক্ত ময়লার ড্রামে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি শক্তিশালী ককটেল থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই অভিমত দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দল। সিটিটিসির বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দলের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দলের ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, প্রাথমিক তদন্তে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, ড্রামটি সড়ক বিভাজকের ওপরে ছিল। সেটি একজন সরিয়ে নেওয়ার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ধরন এবং ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই ড্রামে একটি শক্তিশালী ককটেল রাখা ছিল।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, মগবাজারে বিস্ফোরণ শক্তিশালী বোমা থেকে হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বোমাটি কে বা কারা রেখেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় সড়কে রাখা পরিত্যক্ত ড্রামে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পথচারীসহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিরা হলেন পথচারী সাইদুল ইসলাম (৩৫), আবু কালাম (২৫), মো. শাহিন (৩০), মো. তারেক (২০) এবং কিশোর আতিকুল ইসলাম আকিল (১৫)। সাইদুল ইসলাম মগবাজারে অগ্রণী অ্যাপার্টমেন্টে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। কালাম, শাহীন ও তারেক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (ডিপিডিসি) শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা রাস্তার পাশে বালু ফেলার কাজ করছিলেন। আর আতিকুল ইসলাম মালিবাগের একটি ভাঙারির দোকানে কাজ করেন।
পুলিশ জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আতিকুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর। তিনি সড়ক বিভাজকে থাকা ড্রামটি সংগ্রহ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। আতিকুলের এক কিশোর ভাই জানান, তাঁর অস্ত্রোপচার করা লাগবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।