রাজধানীতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার আট দিন পরও ওই ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) বলেছে, গ্রেপ্তার যুবদল নেতা মুকিতের কাছ থেকে ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারীদের ব্যাপারে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
১৯ ডিসেম্বর ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মা–শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় হওয়া হত্যা মামলাটি থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন ইউনিট ছায়া তদন্ত করছে। তবে আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কোনো ইউনিটই ট্রেনে আগুন দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কাউকেই শনাক্ত করার কথা জানাতে পারেনি।
ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ২১ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে নয়জনকে আটক করার কথা জানিয়েছিল র্যাব-১। ওই ঘটনায় তাঁরা জড়িত কি না বা যারা আগুন দিয়েছে, তাদের চেনেন কি না, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব বলেছিল, ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
আজ সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে সেদিনের অভিযানের তদারকি কর্মকর্তা পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে র্যাব-১ কাজ করছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারজনের নাম জানতে পেরেছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে দুজন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী, বাকি দুজন ভাসমান ব্যক্তি।
আজ সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে কাজ চলছে। অগ্রগতি হলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
এর আগে ডিবি মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম পাওয়ার কথা বলেছিল। আজ সন্ধ্যায় ডিবির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, বোমা বানানোর কারিগর হিসেবে গ্রেপ্তার যুবদল নেতা মুকিতের কাছ থেকে ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারীদের ব্যাপারে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।