২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে: শেখ তাপস

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসছবি: প্রথম আলো

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। ঈদের আগের দিন রাত থেকে হাটে পশুর সংখ্যা, হাটের পরিধি ও বিক্রি কমে যায়, তাই ওই দিন মধ্যরাত থেকে হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করা হবে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র তাপস কথাগুলো বলেন।

মেয়র বলেন, ‘কোরবানি উপলক্ষে জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান ও যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। আগে পশুর হাটের ও কোরবানি করা পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দুর্বলতা ছিল। এবার আমরা পূর্ণভাবে সক্ষম। কারণ, বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ইতিমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ডাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আরও ১৫টি ডাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে।’

এবার কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানি উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে পৃথক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে স্বাচ্ছন্দ্যেই পশুর হাটগুলো পরিচালিত হবে এবং সবাই সেখান থেকে নির্বিঘ্নে পশু কিনতে পারবেন। কোনো বিড়ম্বনা হবে না। এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও পৃথক নিয়ন্ত্রণকক্ষ রাখা হচ্ছে। তাই কোথাও কোনো রকম বিড়ম্বনা দেখা গেলে হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষে জানালে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র জানান, ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলের ভেতরে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অতিবৃষ্টি হলেও প্রধান ঈদের জামাত আয়োজনের সব প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে।

ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।