গুলশানের ভবনটি সব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগুন যেকোনো সময়েই লাগতে পারে। ভবনটি সব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু এত সুন্দর ভবন, অথচ আগুন লাগল। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ফায়ার ড্রিল করার মতো গার্ড ও বাসিন্দারা প্রশিক্ষিত ছিল কি না, তা জানা নেই। সাধারণত থাকে না।
মেয়র দাবি করেন, ‘আমরা ফ্যাক্টরিতে বা গার্মেন্টসে প্রতিনিয়ত অগ্নিমহড়া করছি, সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু বাসাবাড়িতে সাধারণত সেটা হয় না। ফ্ল্যাট কেনেন কিংবা নিজে বাড়ি করেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।’
আজ সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে গুলশান-২–এর ১০৪ নং সড়কে অগ্নিকাণ্ডের শিকার বাসা-২/এ ভবন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র আতিক বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় আগুন লাগতেই পারে; কিন্তু যেটা দরকার সেটা হচ্ছে, নিরাপত্তা ও সচেতনতা। এই ভবনে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা যথেষ্ট সম্পদশালী ও শিক্ষিত। কিন্তু একটা আগুনেই তাঁরা ভবনে আটকে গেছেন। আজকে তাঁরা আটকে গেছেন, কালকে আমিও আটকাতে পারি, আপনি আটকে যেতে পারেন।’
মেয়র আরও বলেন, ‘ভবনটি বিল্ডিং কোড মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু আর্থিং লাইন ও ইলেকট্রনিক লাইন একই পাইপে উঠেছে। দুই লাইনের মাঝে সেপারেশন থাকে। সেটা যদি না থাকে বা মাঝে যদি কোনো দাহ্য পদার্থ থাকে, তাহলে কিন্তু সেপারেশন হলো না। সেটা আমি ইঞ্জিনিয়ার ও ফায়ার সার্ভিসকে দেখতে বলেছি। সেন্ট্রাল এসি ছিল। সেটা থেকে কোনো কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে কি না, সেটা তদন্ত হবে। ফায়ার সার্ভিস আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করেছে।’
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর সড়কের ২ নম্বর হোল্ডিংয়ের ১৪ তলা ভবনের ১১ তলায় আগুন লাগে। একপর্যায়ে আগুন ভবনের ১২ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময়ে তাঁরা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান বলে জানায় পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।
বহুতল এ ভবনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।