বিধিনিষেধের মধ্যেই আতশবাজি, উচ্ছ্বাস-উল্লাসে বর্ষবরণ

খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ঢাকার আকাশে দেখা যায় আলোর খেলা। মঙ্গলবার রাতে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার এলাকার চিত্রছবি: দীপু মালাকার

ঘড়িতে রাত ১২টা বাজতেই রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। পটকা ও আতশবাজির শব্দে একাকার হয় পুরো নগরী। ঢাকার বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে ছোট–বড় সবাই মিলে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করে নিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলতে থাকে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ লিখে সবাইকে শুভেচ্ছা জানানো। এভাবে নানা আয়োজনে ২০২৫ সালকে বরণ করে নিল মানুষ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও বিধিনিষেধের বেড়াজালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বর্ষবরণে তারুণ্যের সেই উদ্দামতা দেখা যায়নি। সন্ধ্যা থেকেই তল্লাশিচৌকি বসানোয় সেখানে বাইরের মানুষ যেতে পারেননি। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী টিএসসিতে জড়ো হয়ে উল্লাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।

ঢাকার বাসাবাড়ির ছাদ থেকে এভাবে আতশবাজি ফাটিয়ে বর্ষবরণ করেন নগরবাসী
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

টিএসসিতে উৎসবের সেই রূপ দেখা না গেলেও রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে লোকজনকে আনন্দ–উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে। রাত ১১টার পর থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এক পাশ মানুষ ও গাড়িতে ভরে যায়। রাত ১২টা বাজতেই উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁরা।

পুরান ঢাকা, ধানমন্ডিসহ পুরো নগরীর প্রায় সব ভবনের ছাদেও ছিল উৎসব। নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ছাদগুলো থেকে মুহুর্মুহু আতশবাজি ফাটানো হয়। বিভিন্ন এলাকা–সড়কেও আনন্দ–উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়।

খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ঢাকার আকাশে আলোর ঝলকানি। মোহাম্মদপুর এলাকার চিত্র
ছবি: জাহিদুল করিম

এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় যেকোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‍্যালি ও শোভাযাত্রার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।

তবে বর্ষবরণ উৎসব উদ্‌যাপনের আনন্দের বাঁধভাঙা জোয়ারে ভেঙেছে নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল। আতশবাজিতে রঙিন হয়ে উঠেছে রাতের আকাশ।

আরও পড়ুন