স্বামীর পর চলে গেলেন অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী, একমাত্র সন্তানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক
রাজধানীর শুক্রাবাদের বাসায় অগ্নিদগ্ধ নিপা বেগম (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নিপা।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নিপার স্বামী টোটন মিয়া (৩৫)। এখন হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন আছে এই দম্পতির একমাত্র শিশুসন্তান মো. বায়েজিদ (৩)। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
টোটন সপরিবারে শুক্রাবাদে থাকতেন। গত শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাসার রান্নাঘরে দেশলাই জ্বালালে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। স্বজনদের ভাষ্য, গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমেছিল। এ থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আগুনে টোটন, স্ত্রী নিপা ও সন্তান বায়েজিদ দগ্ধ হয়। সেদিন রাতেই তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে নিপা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর শরীরের ৩২ শতাংশ পুড়েছিল। এখন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে টোটন-নিপার শিশুসন্তান বায়েজিদ। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
টোটন পেশায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলীতে।