ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৪৮
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭৭ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ১১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে চলতি মাসে। গত মাসে ডেঙ্গুতে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ সময় ডেঙ্গুতে ঢাকা বিভাগে দুজন, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে দুজন এবং বরিশাল ও রংপুর বিভাগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ২৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। এরপর ঢাকা বিভাগে ২৬০, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬৭, বরিশাল বিভাগে ১৫১, খুলনা বিভাগে ১০৭, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫১, রংপুর বিভাগে ২৩ ও সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে চারজন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছরের জুলাই থেকে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ওই মাসে ডেঙ্গুতে ২ হাজার ৬৬৯ জন আক্রান্ত হন। পরের মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৫২১। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৯৭। আর চলতি মাসে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৯৭৩। সব মিলিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৫৬ হাজার ৯১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়ছে। গত জুলাইয়ে ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি মাসে মৃত্যু হলো ১১৪ জনের।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালগুলোয়। সেখানকার হাসপাতালে ১৩৫ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের। এই বয়সী ৮ হাজার ৮৮৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।