ছাত্রশিবিরের ৫ নেতাকে গুমের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৫ নেতাকে গুমের অভিযোগে পুলিশ, র্যাব ও ডিবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে অভিযোগ দাখিল করে তাঁদের পরিবার।
২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গুম হওয়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাঁচ নেতা হলেন শাহ মো. ওয়ালীউল্লাহ, মো. মোকাদ্দেস আলী, হাফেজ জাকির হোসেন, মো. জয়নাল আবেদীন ও রেজোয়ান হোসাইন।
ছাত্রশিবিরের আইন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, ছাত্রকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী আইন সম্পাদক আমানুল্লাহ আল জিহাদী আদিব অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি সংবাদ ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন। এ সময় গুম হওয়া নেতাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত কাজ শেষে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী হানিফ পরিবহনে (গাড়ি নম্বর-৩৭৫০) করে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের তৎকালীন অর্থ সম্পাদক মো. ওয়ালীউল্লাহ, ফিকাহ বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সাংস্কৃতিক সম্পাদক আল মোকাদ্দাসকে আশুলিয়ার নবীনগর থেকে র্যাবের পোশাক পরা ব্যক্তিরা আটক করেন।
ঢাকা ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজির শেষ পর্বের ছাত্র হাফেজ জাকির হোসেনকে শ্যামলী রিং রোডের ১৯/৬ টিক্কাপাড়ার বাসা থেকে ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল দিবাগত রাত চারটায় র্যাব পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি শিবিরের থানা সভাপতি ছিলেন।
২০১৭ সালের ১৮ জুন বান্দরবান সদরের লেমুঝিনি গর্জনিয়া মসজিদসংলগ্ন একটি কক্ষ থেকে বান্দরবান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও শিবিরের থানা সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদীনকে র্যাব পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ৪ আগস্ট বেনাপোল পোর্টসংলগ্ন দুর্গাপুর বাজার থেকে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নূর আলমের উপস্থিতিতে অসংখ্য মানুষের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে আটক করা হয় বাগাছড়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও ছাত্রশিবিরের তৎকালীন থানা সেক্রেটারি রেজোয়ান হোসাইনকে।
ছাত্রশিবিরের সহকারী আইন সম্পাদক আমানুল্লাহ আল জিহাদী আদিব প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ইসলামী ছাত্রশিবির ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগ জানানো হয়েছে; কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় পাঁচ নেতাকে গুমের পৃথক পাঁচটি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে।