এস এম সুলতান স্মরণে দুই দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজন
খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৯তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক আয়োজন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সোমবার এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। চিত্র প্রদর্শনী, আর্ট ক্যাম্প, শিশুদের পত্রলেখা প্রদর্শনী, পালাগান, পুতুলনাট্য প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই স্মরণানুষ্ঠান।
সোমবার বিকেলে একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে শিল্পী এস এম সুলতানের প্রতিকৃতির অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর উদ্বোধন করা হয় এস এম সুলতানের আঁকা ছবি এবং তাঁরই প্রতিষ্ঠিত শিল্প শিক্ষার স্কুল ‘শিশুস্বর্গ’–এর শিশুদের আঁকা ছবি নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী।
প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী, চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম ও একাডেমির সচিব সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ। আলোচনা সভা শুরু এবং শেষে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে একাডেমির শিশু সংগীত দল। পরে প্রদর্শিত হয় শিল্পী এস এম সুলতানের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘আদমসুরত’।
এ ছাড়া সুলতানের ৪০টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে। তাঁকে নিয়ে আঁকা বিভিন্ন শিল্পীর চিত্রকর্মও স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।
এস এম সুলতানের প্রয়াণ দিবসে (১০ অক্টোবর) শিল্পীর জন্মস্থান নড়াইলে দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
শিল্পী এস এম সুলতানকে অনেকেই চেনেন লাল মিয়া নামে। তিনি জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন আবহমান বাংলার গ্রামীণ জীবন, কৃষক ও কৃষিকাজে। বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম আর শত প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার গল্প তাঁর শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তাঁর আঁকা ছবির প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল ১৯৪৬ সালে সিমলায়।