মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসার অনুমতির দাবিতে সড়ক অবরোধ

কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়ক অবরোধ করেন সাদপন্থীরা। ঢাকা, ১৯ নভেম্বরছবি: সংগৃহীত

তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের একাংশের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় আসার অনুমতি দিতে সড়ক অবরোধ করেন তাঁর অনুসারীরা। মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়ক অবরোধ করেন সাদপন্থীরা। দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দেওয়া ও প্রথম পর্বের ইজতেমা করার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল আটটায় কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেন সাদপন্থীরা। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে যেতে চান। তখন পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তাঁরা রমনা এলাকায় রাস্তার ওপর বসে পড়েন। এতে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পরে সাদপন্থীদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে স্মারকলিপি দেয়। এরপর সড়ক ছেড়ে দেন সাদপন্থীরা।

প্রেস সচিবকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, মাওলানা সাদ কান্ধলভী দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব ইজতেমায় বয়ান এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে তাঁকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এতে তাবলিগ জামাতের একাংশ হতাশ ও ক্ষুব্ধ। সাদপন্থীরা জানান, আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্বে মাওলানা সাদের উপস্থিতি চান তাঁরা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রথম পর্বে (৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমা আয়োজন করবেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়েরের অনুসারীরা (শুরায়ী নেজাম)। আয়োজন শেষে ইজতেমার মাঠ ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটার মধ্যে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আয়োজন করবেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আয়োজন।

সূত্র বলছে, ২০১৮ সাল থেকে মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্য নিয়ে তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়। তাঁর ইজতেমায় অংশগ্রহণ নিয়ে এক পক্ষ বিরোধিতা করায় তৎকালীন সরকার ভিসা বন্ধ করে দেয়।