গুলশানের ভবনটি এখনো ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করা হয়নি: পুলিশ
রাজধানীর গুলশানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বহুতল ভবনটি এখনো ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করা হয়নি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ভবনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভবনটি নিরাপদ কি না, তা জানানো হবে। নিরাপদ ঘোষণা করলেই কেবল বাসিন্দারা ভবনে ফিরতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার পুলিশের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে।
গুলশান ২ নম্বর এলাকার ১০৪ নম্বর সড়কের ১৪ তলা ভবনটিতে গত রোববার রাতে আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। যে দুজন মারা গেছেন, তাঁদের কেউই অগ্নিদগ্ধ হননি। দুজনই ভবনের ১২ তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে মারা গেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার আবদুল আহাদ মুঠোফোনে আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখন ভবনটির বাইরে অবস্থান নিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছি। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ভবনটিকে এখনো নিরাপদ বলে ঘোষণা করেনি। নিরাপদ ঘোষণার পরই বাসিন্দারা ভবনে বসবাস শুরু করতে পারবেন।’
ভবনটির নিরাপত্তাকর্মীরা প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সংস্থার লোকজন আসছেন। তাঁরা ভবনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। বিভিন্ন ফ্ল্যাটের মালিকেরা আসছেন। তাঁরা তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন।
আগুন লাগার পর নিরাপত্তার কারণে ভবনটির বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সংযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ভবনটিতে আগুন লাগার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কসংকেত (অ্যালার্ম) বেজে উঠেছিল। কিন্তু ভবনে থাকা বেশির ভাগ পরিবার প্রথমে সেটি আমলে নেয়নি। অন্যদিকে যাঁরা ‘অ্যালার্ম’ শুনে ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে বের হয়েছিলেন, তাঁরাও জরুরি নির্গমন সিঁড়ি ব্যবহার করেননি।
এ ছাড়া নিষেধ করার পরও কেউ কেউ আতঙ্কে ভবনের ওপরের দিকের তলাগুলো থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। এসব কারণে হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
রাজউক জানিয়েছেন, বিধি মোতাবেকই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। তারা নিয়মের ব্যত্যয় খুঁজে পায়নি।