হানিফ উড়ালসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রীর

ঢাকা মেডিকেলে নিহত সাদিয়া আফরিনের মায়ের আহাজারি
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মেয়র হানিফ উড়ালসড়কে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাদিয়া আফরিন ওরফে ঊর্মি মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

 আজ মঙ্গলবার বিকেলে উড়ালসড়কের সায়েদাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোন ধরনের গাড়ি সাদিয়াকে বহনকারী মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। যানটি শনাক্ত করে চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসীন আলী জানিয়েছেন।

নিহতের স্বজনেরা জানান, সাদিয়া পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর দনিয়ার ক্লাবপাড়া এলাকায় থাকতেন। বড় বোনের বিয়েবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে তাঁদের রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল। সে জন্য সাদিয়াকে নিয়ে তাঁর বড় বোনের দেবর নাজমুল হক মোটরসাইকেলে রওনা দেন। আরেকটি মোটরসাইকেলে সাদিয়ার বড় বোন ও ভগ্নিপতি ছিলেন।

একপর্যায়ে সাদিয়াকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি হানিফ উড়ালসড়কের সায়েদাবাদের সড়ক ও জনপথ মোড় বরাবর পৌঁছায়। এ সময় দ্রুতগতিতে চলা কোনো একটি গাড়ি পেছন থেকে তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে সাদিয়াদের মোটরসাইকেল উড়ালসড়কে ছিটকে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাদিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাদিয়া দুই বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন। তাঁর বাবা মোহাম্মদ রাশেদ একটি বায়িং হাউসের কর্মচারী। তাঁদের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের কালামপুরে।

সাদিয়ার বেয়াই নাজমুল হক হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই কোনো একটি গাড়ি পেছন থেকে তাঁদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সামান্য আহত হয়েছেন। কিন্তু সাদিয়াকে বাঁচাতে পারলেন না।

খবর পেয়ে সাদিয়ার মা–বাবাসহ স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেলে ছুটে আসেন। এ সময় তাঁর মা সাজেদা আহাজারি করতে করতে বলেন, বেপরোয়া একটি বাস তাঁর মেয়েকে চাপা দিয়ে পালিয়েছে। তিনি ওই বাসচালকের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি করেন।