ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আজ সোমবার এক থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।
ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) দেওয়া লোডশেডিংয়ের সূচিতে এমনটাই দেখা গেছে।
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ১৮ জুলাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ জুলাই থেকে দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়।
চলতি অক্টোবর থেকে লোডশেডিং কমবে বলে জানিয়েছিল সরকার, কিন্তু তা হয়নি। বরং লোডশেডিং আরও বেড়েছে। চলতি মাসে গরম বেড়েছে। সঙ্গে রয়েছে লোডশেডিং। এই দুই মিলিয়ে রাজধানীবাসীর অবস্থা নাকাল। দেশের অন্যত্রও পরিস্থিতি নাজুক।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হয়। এখন তা বেড়ে হয়েছে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে এখন। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান গত সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে। গত তিন মাসে এমন পরিস্থিতি হয়নি।
কোথাও কোথাও এখন দিনে পাঁচবার লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেসকোর এমডি আমির কাউসার আলী। তিনি সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, দিনে ৩০০ মেগাওয়াটের মতো সরবরাহের ঘাটতি হচ্ছে। কোনো কোনো ফিডারে (নির্দিষ্ট গ্রাহক এলাকা) দিনে চারবার পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
আজ ডিপিডিসির আওতাধীন বেশির ভাগ এলাকায় তিন থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং করা হবে বলে তালিকায় দেখা গেছে। তবে শ্যামপুরের কয়েকটি স্থানে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হতে পারে। তবে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা দুই প্রতিষ্ঠানই বলেছে, বিদ্যুৎ–বিভ্রাট ও পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই সূচির পরিবর্তন হতে পারে।