আগারগাঁওয়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ শুরু, যান চলাচল বন্ধ
রাজধানীর আগারগাঁও মোড়ের মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন। ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের এই অবরোধ কর্মসূচির কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানার নিয়ে শিক্ষার্থীরা আগারগাঁও মোড়ের দিকে আসতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা আগারগাঁও মোড়ের চারপাশের সড়কে অবস্থান নেন।
দেখা যায়, মহাখালী থেকে আগারগাঁওমুখী সড়কে গাছের টব বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। ফার্মগেটমুখী সড়কে বাঁশ দিয়ে, শ্যামলীমুখী সড়কে ইটের ব্লক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সড়কেই বিভিন্ন পোস্টার হাতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘১৮-র হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘আমার দেশ, আমার মা, বৈষম্য মানি না’, ‘দালালি না রাজপথ’ এমন নানা স্লোগান দিচ্ছে।
সড়কে অবস্থান নেওয়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হৃদয় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘৫৬ শতাংশ কোটা কোনোভাবেই মানা যায় না। আমরা কোটাপদ্ধতির সংস্কার চাই। বিকেল পর্যন্ত এখানে অবস্থান চলবে।’
সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আজ সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ঘোষণা অনুযায়ী, সড়ক ও রেলপথ এই কর্মসূচির আওতায় থাকবে। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়। বাংলা ব্লকেডের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় হওয়ার কথা গতকাল জানানো হয়।