বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় দক্ষিণ সিটির দুঃখ প্রকাশ

জলাবদ্ধ সড়কে রিকশাযোগে কোমরসমান পানি পার হচ্ছেন চলাচলকারীরা। গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোডেছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এ দুঃখ প্রকাশ করেন।

গতকাল শুক্রবার ভারী বৃষ্টিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সড়ক ডুবে গিয়েছিল। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কী করেছে, তা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

মিজানুর রহমান বলেন, নগরবাসী অভ্যাসগত কারণে যত্রতত্র পলিথিন ও প্লাস্টিক–জাতীয় বর্জ্য ফেলছেন। বৃষ্টি হলে সেগুলো ক্যাচপিটে (সড়কের পাশে পানি প্রবেশের পথ) গিয়ে জমা হয়। পানি সরাতে গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে পরিষ্কার করা হলেও অন্যদিকে সেগুলো আটকে যাচ্ছে। ফলে পানি সরতে দেরি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সুফল পেতে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে।

নদ-নদীর পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় স্লুইসগেটগুলো সক্ষমতা অনুযায়ী পানিনিষ্কাশন করতে পারছে না বলে উল্লেখ করেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, সারা দেশে অতি বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকা শহর ঘিরে চারপাশের যে নদ-নদীগুলো রয়েছে, সেগুলোর পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে স্লুইসগেট দিয়ে সক্ষমতা অনুযায়ী পানিনিষ্কাশন করা সম্ভব হয়নি।

ধোলাইখাল ও কমলাপুর পানির পাম্প স্টেশনের মাধ্যমে পানিনিষ্কাশনের হিসাব তুলে ধরে মিজানুর রহমান বলেন, কমলাপুরের টিটিপাড়া ও ধোলাইখাল পাম্প স্টেশনের ছোট-বড় সাতটি পাম্প পানিনিষ্কাশন করছে। শুধু ধোলাইখাল ও টিটিপাড়া পাম্প স্টেশনের মাধ্যমে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৪৩ কোটি ৫৫ লাখ লিটার পানি অপসারণ করা হয়েছে।

শুক্রবারের বৃষ্টিতে কেন এমন পরিস্থিতি হয়েছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন বলেও জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তাঁরা উপায় খুঁজে বের করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া ও নূর মোহাম্মদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।