চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হোটেলমালিক গ্রেপ্তার
লালবাগের চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে ভবনে আগুনের সূত্রপাত, সেই ভবনের নিচতলায় ‘বরিশাল হোটেল’ নামে একটি হোটেলের মালিক তিনি। তাঁর নাম ফকরুল ইসলাম। তাঁকে লালবাগের নিজ বাসা থেকে আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ময়নাতদন্তের আগে লালবাগ থানার উপপরিদর্শক রাজীব কুমার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
রাজীব কুমার বলেন, ৩০৪–এর ক ও ৩৪ ধারায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাচ্ছিল্যভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা, যার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস ঘাটের আগুনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। সবাই স্থানীয় বরিশাল হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। নিহত ছয়জনের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে আগুন লাগে। পরে বেলা ২টা ২০ মিনিটে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে ছুটে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর কয়েকজন নিখোঁজ ছিল বলে জানা যায়।
এরপর একের পর এক লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নিহত ব্যক্তিরা সবাই বরিশাল হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। রাতে ডিউটি শেষে হোটেলের ওপরতলার একটি রুমে তাঁরা ঘুমাচ্ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যে ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেই ভবনের নিচতলায় ‘বরিশাল হোটেল’ নামে একটি হোটেল আছে।
সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, যে ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেটাসহ আশপাশের কোনো ভবন নির্মাণের নিয়মনীতি মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এত দেরি হয়েছে।