চিকিৎসা বন্ধ রেখে আন্দোলনে ইউনানি-আয়ুর্বেদিক মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসক-শিক্ষার্থীরা

সাত দফা দাবিতে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করছেন সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাছবি: সংগৃহীত

রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ আছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমও বন্ধ।

সাত দফা দাবিতে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৯ দিন ধরে চিকিৎসা ও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।

সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন প্রণয়ন ও কাউন্সিল গঠন করা। দ্রুত সময়ে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের সরকারি চাকরির নিয়োগ বিধি প্রণয়ন এবং পিএসসির ক্যাডারভুক্ত করার মাধ্যমে নিয়মিত নিয়োগ প্রদান করা। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ব্যবস্থা করা। স্বৈরাচারের দোসর, দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়ন করা। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা বাড়ানো। সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা।

ইন্টার্ন চিকিৎসক অপরাজিতা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দফায় দফায় সভা হলেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তাই ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা সর্বাত্মক অবরোধে (কমপ্লিট শাটডাউন) আছেন। পরীক্ষা–ক্লাস সবকিছু বন্ধ। জরুরি বিভাগ ছাড়া ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসাসেবাও বন্ধ। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতিতে থাকায় চিকিৎসকেরাও কাজ করতে পারছেন না।

মেডিকেল কলেজের ইউনানি বিভাগের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী আহমদ উল্লাহ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলনে আছেন।

জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মেহবুবা সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, তারা সংকট সমাধানে কাজ করছেন।