শুক্রবার বিকেলে চলবে মেট্রোরেল, কাজীপাড়া স্টেশনও চালু হচ্ছে
আগামীকাল শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশন চালু হচ্ছে। স্টেশনটি পুনরায় সচল করতে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া এখন থেকে শুক্রবারও যাত্রীসেবা দেবে মেট্রোরেল। আগামীকাল বিকেল থেকে সপ্তাহের সাত দিনই মেট্রোরেল চলাচল করবে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এই তথ্য জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, কাজীপাড়া স্টেশন চালুর জন্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিছু যন্ত্রপাতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিছু জিনিস ও যন্ত্রাংশ মিরপুর-১০ স্টেশন, ডিএমটিসিএল ল্যাব, প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী কেন্দ্র থেকে এনে লাগানো হয়েছে। ক্ষতি নির্ধারণের কাজ শেষের পর দরপত্রে গেলে জানা যাবে, কত টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবারও মেট্রোরেল চালু করা নিয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, প্রতি শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে। আর মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে। রাতে উত্তরা থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টায়, মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। শুক্রবার ১২ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন চলবে।
মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালুর বিষয়ে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, স্টেশনটি দ্রুত চালুর চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ওই স্টেশনের আইটেম অনুযায়ী কোনটির কতটুকু ক্ষতি হয়েছে, সেটা নির্ধারণে কাজ চলছে। এতে আরও সাত বা আট দিন সময় লাগতে পারে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর দরপত্রে গেলে বোঝা যাবে, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কত হয়েছে।
গত ১৮ দিনে (শুক্রবার বাদে ১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) ৪৯ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, এ সময় আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকা। সবচেয়ে বেশি যাত্রী ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর। সেদিন আয় হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৬ টাকা। যাত্রী ছিল ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯২ জন।
গতকাল খামারবাড়ি অংশে ভায়াডাক্টের মধ্যবর্তী স্থানের বিয়ারিং প্যাড স্থানচ্যুত হওয়ায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে গতকাল ৫৪ লাখ ৫১ হাজার ১৪০ টাকা আয় হয়েছে।