ঈদের দিনে চন্দ্রিমা উদ্যান, সংসদ ভবন এলাকায় মানুষের ঘোরাঘুরি
ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও ঈদের ছুটিতে অনেকেই রাজধানীতে রয়ে গেছেন। পশু কোরবানিসহ সারা দিনের নানা ব্যস্ততা শেষে বিকেলে পরিবার নিয়ে কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অনেকেই ঘুরতে বেড়িয়েছেন। ফাঁকা ঢাকায় আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-সংলগ্ন সংসদ ভবন এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, চন্দ্রিমা উদ্যান ও সংসদ ভবন এলাকায় বহু মানুষের সমাগম। শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরছে। অনেক তরুণ-তরুণী বসে গল্প করছেন। আবার দল বেঁধে ছেলে-মেয়েরাও ঘুরতে এসেছে। মানুষের এই সমাগমে পাঁপড়, বাদাম, ফল, আইসক্রিমসহ নানা ধরনের ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানও জমজমাট। বসেছে বেলুন, খেলনা, পুতুলের দোকানও।
স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে এসেছেন মেহেদী হাসান৷ তিনি পেশায় ফ্রিল্যান্সার। এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি বরিশালে যাননি তিনি। মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা দিন বাসায় ছিলাম। ঈদের দিন, তাই স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এলাম।’
বেড়াতে এসেছে এসহান আহমেদ ও শাহরিয়ার আবিদ নামের দুই বন্ধুও। তারা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। চন্দ্রিমা উদ্যানে এসহান আহমেদ প্রথম আলোকে বলে, এবার তার পরিবার ঢাকায় ঈদ করছে। আবার ঢাকায় তাদের আত্মীয়স্বজনও আছে। সকালে থেকে আত্মীয়দের বাসায় সে অনেক খেয়েছে। একটু ঘুমাতে ইচ্ছা করছিল। কিন্তু ঈদের দিন সে ঘুমিয়ে কাটাতে চায় না। তাই বন্ধুকে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে সে ঘুরতে এসেছে।
ঈদের দিন ছুটি হওয়ায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিও লক্ষণীয়। চন্দ্রিমা উদ্যানে রতন শর্মা প্রথম আলোকে বলেন, আজ তাঁর কারখানা বন্ধ। আগামীকাল মঙ্গলবার কারখানা খোলা। বন্ধ থাকায় তাঁরা তিনজন মিলে এখানে ঘুরতে এসেছেন।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-সংলগ্ন সংসদ ভবন এলাকায় দেখা যায়, বেলা যত গড়িয়ে যাচ্ছে, ততই মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এখানে এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে আসেন মুজিবর রহমান। তিনি বলেন, ‘সারা দিন বাসায় ছিলাম। ছেলেমেয়েরা তো আর ঈদের দিন বাসায় থাকতে চায় না। তাই ওদেরকে নিয়ে ঘুরতে এলাম।’