ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীফাইল ছবি: প্রথম আলো

শীত এলে ডেঙ্গুর প্রকোপ সাধারণত কমে আসে। তবে কয়েক বছর ধরে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে দেশে। এবার এখন পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। আর আজ শীতের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ৪৯৪ জনের মৃত্যু হলো।

গত বছর দেশে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়। গত বছরের ১ ডিসেম্বরেও ডেঙ্গুতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল।

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চট্টগ্রাম বিভাগে দুজন, ঢাকা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন করে মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) সর্বোচ্চ ২৩৩ জন ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪১, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০৪, খুলনা বিভাগে ৯১, বরিশাল বিভাগে ৬৭, রাজশাহী বিভাগে ৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩, রংপুর বিভাগে ১১ ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ৮ জন ভর্তি হয়েছেন।

আরও পড়ুন

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯২ হাজার ৩৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৫৪ জন নারী ও ২৪০ জন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৫৫৯ জন রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ১৬ হাজার ৮৮২ জন ভর্তি হয়েছেন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অপর দিকে এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ২০৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে। এরপর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের।

আরও পড়ুন