ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে লড়তে ডেঙ্গু, ভিকারুননিসার শিক্ষকের মৃত্যু
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মোরশেদা বেগম আগে থেকেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন। এ জন্য তাঁর কেমোথেরাপিও শুরু হয়েছিল। এর মধ্যেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তিনি। শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন এই শিক্ষক।
রাজধানীর ইনসাফ আল বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকালে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মোরশেদা বেগম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার শিক্ষক ছিলেন। তিনি সর্বশেষ ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে পড়াতেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মোরশেদা বেগম ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। কেমোথেরাপি দেওয়া শুরু হয়েছিল। এ জন্য তাঁর শরীরের অবনতি হয়। আবার ডেঙ্গু রোগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ইনসাফ আল বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) হাফিজুর রহমান চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক মোরশেদা বেগমের ক্যানসারের কেমো চলছিল। কেমো চলার কারণে ওনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। আবার ডেঙ্গু হওয়ায় তাঁর বিভিন্ন সমস্যা হয়। মূলত দুটির প্রভাবই তাঁর মৃত্যুর কারণ।
প্রয়াত মোরশেদা বেগমের স্বামী সাইদুর রহমান নিজাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় তিন মাস আগে তাঁর স্ত্রীর টিউমার ধরা পড়ে। অপারেশনের পর ক্যানসার শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ক্যানসার শনাক্ত হয়। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কেমো দেওয়া শুরু করা হয়। ছয়টি ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি ডোজ দেওয়ার পর তাঁর ডেঙ্গুর উপসর্গও দেখা দেয়। একপর্যায়ে লাইফ সাপোর্টেও নিতে হয়েছিল।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফেসবুক পেজে বলা হয়, শিক্ষক মোরশেদা বেগম ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ১১ আগস্ট সকাল সাড়ে ছয়টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে ভিকারুননিসা পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ভিকারুননিসা পরিবার।
প্রয়াত মোরশেদা বেগমকে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানালেন তাঁর স্বামী সাইদুর রহমান। তাঁদের দুজনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়।