প্রত্যয় স্কিম: অচলাবস্থা নিরসনে সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বান জগন্নাথের শিক্ষকদের

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনেছবি : আশিকুজ্জামান

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম চাপিয়ে দেওয়ায় দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মর্মাহত ও হতাশ। এটা বাতিলের জন্য শিক্ষকেরা টানা সর্বাত্মক কর্মবিরতি করছেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মাচারীরাও কর্মবিরতি করছেন। ফলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অচলাবস্থা অবসানের জন্য সরকারকে আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

প্রত্যয় বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। কর্মসূচিতে তাঁরা এসব কথা বলেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। সেখানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকেরা অংশ নিয়ে এসব বক্তব্য দেন। শিক্ষকেরা বলেন, সরকারের নীতিনির্ধারণ পর্যায় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসা প্রয়োজন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মিনহাজ উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সরকার ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্রুত আলোচনা হলেই সবার মঙ্গল। এটা খুব জরুরি। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রত্যয় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা খুব হতাশার ও অপমানজনক। শিক্ষকেরা খুবই অপমান বোধ করছেন। তাঁরা খুবই মর্মাহত। যত দিন যাচ্ছে, তাঁরা আরও বেশি হতাশ হয়ে পড়ছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর প্রত্যয় চাপিয়ে দেওয়াটা সার্বিকভাবে রাষ্ট্র বা বর্তমান সরকার—কারও জন্যই খুব ভালো কিছু হবে না দাবি করে মিনহাজ উদ্দীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া ও পেনশন স্কিমটি বাতিল করা উচিত। সর্বোপরি কথা হচ্ছে, যাঁদের জন্য এই স্কিমটা চালু করা হচ্ছে, তাঁরা যদি না চান, সেটা কার্যকর করা কারও জন্য ভালো হবে না।’

এদিকে শিক্ষকদের পাশাপাশি অন্য দিনের মতো আজকেও ক্যাম্পাসের নতুন ভবনের সামনে অস্থায়ী প্যান্ডেল করে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।