‘সব জানালা বন্ধ করে চলে রান্না, রাতে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ’

গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণপ্রতীকী ছবি

ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় একটি আবাসিক ভবনে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধের মধ্যে এক শিশুকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর নাম সোয়ায়েদ। বয়স চার বছর।

অগ্নিদগ্ধ ১০ জন হলেন সূর্য বানু (৫৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল রানা (৩৮), সুমন রহমান (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭) ও সুরাহা (৩)। তাঁদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা চলছে।

দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মোহাম্মদ শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, মশার উপদ্রব থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে বাসার সব কটি জানালা বন্ধ ছিল। বিকেল থেকে পিঠা বানানোসহ অন্যান্য রান্না করা হয়। রাত ৯টার সময় আবারও চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ ওই কক্ষে আগুন ধরে যায়।

আশুলিয়ায় অগ্নিদগ্ধ ১১ জনের কয়েকজন আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সুমন রহমান তাঁর দুই সন্তান নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পেশায় তিনি একজন ফ্রিল্যান্সার। পবিত্র শবে বরাতে তাঁর বাসায় আসেন বড় ভাই সোহেল, বোন শিউলি, তাঁর স্বামী, বোনের দুই সন্তান, সুমনের মা সূর্যবানু এবং সুমনের ফুফু জোহরা। বিকেল থেকে বাসায় রান্না চলে। তবে রাত ৯টার পর বাসায় আগুন ধরে যায়।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শিশু সোয়ায়েদকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য দগ্ধরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।