আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভিকারুননিসায় ১০ শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিতে নির্দেশ
আসন খালি থাকা সাপেক্ষে প্রথম শ্রেণিতে ১০ শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিতে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের সহোদরেরা এই স্কুলের শিক্ষার্থী।
সহোদর হিসেবে ভর্তিচ্ছু ওই দশ শিশুর অভিভাবকের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্নমাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। চলতি বছর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ওই ১০ শিক্ষার্থী ভিকারুননিসার বিভিন্ন শাখায় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করে। এতে ফল না পেয়ে ওই নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে ১৪ জানুয়ারি রিটটি করেন তাদের অভিভাবকেরা।
ওই নীতিমালা অনুসারে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর ভাই বা বোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে, সেসব আবেদনকারীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ ২ সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
গত ২৩ অক্টোবর জারি করা ভর্তি নীতিমালা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই নীতিমালায় সহোদর বা সহোদরাদের ক্ষেত্রে উল্লেখিত ৫ শতাংশ কোটার কারণে চলতি বছর প্রথম শ্রেণিতে ১০ শিশু ভর্তি হতে পারেনি। ২০২৪ সালে ভর্তির পুরো নীতিমালাটি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কারণ, এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা, ধানমন্ডি, আজিমপুরসহ বিভিন্ন শাখায় ১০ শিশুকে ভর্তি নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।