ডিবিতে কেন গেলেন জানালেন মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার পর সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ডিবি কার্যালয়ে তাঁকে কেউ ডাকেননি। ব্যক্তিগত মুঠোফোন নিতে তিনি ডিবি কার্যালয়ে যান। মামলার আলামত হিসেবে মুঠোফোনটি জব্দ করা হয়েছিল।
তবে মুঠোফোনটি পেয়েছেন কি না, সেটি জানাননি মামুনুল হক। অন্য কোনো বিষয়েও কথা হয়েছে কি না, সে বিষয়েও তিনি কিছু বলেননি। এ সময় সাংবাদিকেরা আরও প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান।
ডিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তিনি (মামুনুল) ডিবি কার্যালয়ে যান।
মামুনুল হককে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর ৩ মে তিনি কারামুক্ত হন। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মামুনুল হক জামিন পান।
২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক কয়েকটি দল বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়। ওই সময় ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে সহিংস ঘটনায় আলোচিত ছিলেন মামুনুল হক। ঢাকা ছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনার পরপরই রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে নতুনভাবে বিতর্কে জড়ান মামুনুল হক। তুমুল বিতর্কের মধ্যেই ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক রিসোর্টে তিনি এক নারী সঙ্গীকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। সঙ্গে থাকা নারী সঙ্গীকে নিজের স্ত্রী দাবি করেন। এরপর তাঁর অনুসারীরা হামলা করে মামুনুলকে সেখান থেকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনার পর তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়। ১৫ দিন পর পুলিশ মোহাম্মদপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।