পর্বতারোহী শায়লা বিথীর ওপর হামলাকারীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

পর্বতারোহী শায়লা বিথীর ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নারীদের এলাকাভিত্তিক বন্ধুত্বের নেটওয়ার্ক ‘শক্তি’ছবি: সংগৃহীত

পর্বতারোহী শায়লা বিথীর ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে নারীদের এলাকাভিত্তিক বন্ধুত্বের নেটওয়ার্ক ‘শক্তি’। এ সময় তাঁর ওপর হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি–২৭ নম্বরের পদচারী সেতুর সামনে সমবেত হন শক্তির সদস্য, শিক্ষক, গৃহিণী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ। এরপর তাতে যুক্ত হন পথচারীরাও।

শক্তির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হামলা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। স্বৈরাচার পতনের পর চলমান অস্থিরতার সুযোগে এই হামলাগুলো ঘটছে, যা সমাজের নিরাপত্তা ও নারীর স্বাভাবিক চলাচলের অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পর্যটনবান্ধব জায়গা থেকে শুরু করে মেট্রোরেল, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বয়সের নারীকে হয়রানি করা হচ্ছে। পোশাক নিয়ে কটু মন্তব্য, চলাচলের অধিকার খর্ব করা, অবমাননা ও নিপীড়নমূলক আচরণ, শারীরিক লাঞ্ছনা, যৌন হয়রানি, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে; যা নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।

প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে পোস্টার লাগিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে সাতটি দাবি। এর মধ্যে আছে শায়লা বিথীর ওপর হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারপ্রক্রিয়ায় আনা, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সুযোগে গণপরিসরে নারীর ওপর সংঘটিত প্রতিটি হামলা ও নিপীড়ন তদন্ত করা, নারীর হয়রানি নিরসনে পুলিশের স্পেশাল সেল খোলার মতো দাবিগুলো।

গত শনিবার রাজধানীতে হামলার শিকার হন পর্বতারোহী শায়লা বিথী। সেদিন দুপুরে ধানমন্ডির মাদার কেয়ার হাসপাতালের সামনে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগে শায়লা বিথী বলেন, তিনি মাদার কেয়ার হাসপাতালের সামনের পদচারী সেতু থেকে নিচে নামছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি পেছন থেকে হঠাৎ চুলের মুঠি করে ধরে তাঁকে টেনে নিচে ফেলে দেন। এরপর তাঁকে মারধর করেন। তখন তিনি চিৎকার শুরু করলে লোকজন এগিয়ে এলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান।