জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
ফাইল ছবি

রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় মুক্তা খাতুন (৩০) নামের এক নারী মারা গেছেন। তাঁর স্বামী দগ্ধ আতাহার (৩৫) ও পাঁচ বছরের মেয়ে আফসানার (০৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তা খাতুনের মৃত্যু হয়।

বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আতাহারের শরীরের ৫৫ শতাংশ ও আফসানা শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

আরও পড়ুন

গত রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে জুরাইন এলাকায় একটি বাসায় গ্যাসের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এতে আলতাফ সিকদার (৭০), তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), নাতনি আফসানা (০৫) ও জামাতা আতাহার (৩৫) দগ্ধ হন। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আলতাফ সিকদার এবং তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে প্রথম দিনই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আলতাফের শরীরের ২ শতাংশ এবং মর্জিনার শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

আলতাফের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার কচুয়া গ্রামে। তাঁর শ্যালক মো. মাহাবুব বলেন, আলতাফ জুরাইনের মাদবর বাজারের সলিমুল্লাহ রোডের একটি বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। তাঁর মেয়ে মুক্তা এক সপ্তাহ আগে বাবার বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন।

জুরাইন এলাকায় বেশির ভাগ সময় দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না। তাই রাতেই রান্নার কাজ বেশি করা হয়। মুক্তা রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রান্নাঘরে ঢোকেন। চুলা ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়।