শেষ সময়ে টুপি-আতরের দোকানে
ঈদের কেনাকাটার পর্ব প্রায় চুকিয়ে ফেলেছেন বেশির ভাগ মানুষ। এখন তাঁরা ভিড় জমাচ্ছেন টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে।
আজ শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট দোকানে হরেক রকমের টুপি, আতরের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা।
মুগদার বাসিন্দা ইমরান হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আতর-টুপি কেনার জন্য শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আসেন। পছন্দের টুপি কেনার পর কথা হয় ইমরানের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবছর নতুন পায়জামা, পাঞ্জাবি, টুপি পরে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাই। এবার পায়জামা-পাঞ্জাবি কেনা শেষ হয়েছে। বাকি ছিল টুপি কেনা। টুপিও কিনে ফেললাম।’
বায়তুল মোকাররম মার্কেটের অন্তত ১০ জন টুপি বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় শুক্রবার। তাঁরা বললেন, করোনাকাল থেকে তাঁদের বিক্রি কম। এবারও বেচাকেনা জমেনি।
আট বছরের বেশি সময় ধরে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে ব্যবসা করছেন মীম ক্যাপ হাউসের মালিক ফরহাদুল হাসান। তাঁর দোকানে আছে হরেক রকমের টুপি।
ফরহাদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার সময় বেচাকেনা অনেক কমে গিয়েছিল। আশা করেছিলাম, এ বছর ভালো বেচাকেনা হবে। কিন্তু এবার বিক্রিও খুব বেশি হয়নি।’
বায়তুল মোকাররম মার্কেটে নানা নামের টুপি বিক্রি হয়। এর মধ্যে আছে ব্রুনেই টুপি, রুমি টুপি, ওমানি টুপি, সৌদি টুপি, পাগড়ি টুপি, আফগান টুপি, ইন্দোনেশিয়ান টুপি, পাকিস্তানি সিন্দি টুপি, মিসরীয় টুপি।
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পাকিস্তানি স্টোন টুপি ২ হাজার ৫০০ টাকা, পাকিস্তানি সিন্ধি টুপি ২ হাজার ২০০, ব্রুনেই টুপি ২ হাজার ৫০০, ওমানি টুপি ১ হাজার ৫০০ ও সৌদি টুপির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা।
বিক্রেতারা জানালেন, যাঁরা টুপি কিনছেন, তাঁদের বেশির ভাগ সঙ্গে আতরও কিনছেন। এবার বেশি দামি আতরের চাহিদা কম।
ব্যবসায়ীরা জানান, এসএস আল আরাবিয়া, গুপি, সুলতান, উদে কাসাস, কামার, মাজমা, আল হারামাইন, আল হারমাইন শেখ, আলিফ, আল ফারহান, আল ইসরাত, আল রিসাব, জান্নাতুল ফেরদাউস, রজনীগন্ধা, বকুল, সুরভি ও বেলি ফুল নামের আতরের চাহিদা বেশি। সবচেয়ে বেশি দামি আতরের নাম উদ আতর। সৌদি আরবের এই আতরের দাম প্রতি তোলা ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া আল হারমাইন শেখের দাম ১ তোলা ২০ হাজার টাকা, কস্তুরির দাম ১ তোলা ১৪ হাজার টাকা।