রাস্তায় পড়ে ছিল গণপূর্তের নির্মাণসামগ্রী, মেয়র আতিকের নির্দেশে নিলামে বিক্রি
রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকায় আজ শনিবার সকালে ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে গিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, গণপূর্তের চলমান একটি আবাসন প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রী অবৈধভাবে প্রধান সড়ক ও ফুটপাতে রাখা হয়েছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছিল। এ পরিস্থিতি দেখে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মেয়র।
তখন গণপূর্তের প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কেউ উপস্থিত ছিল না। তাই তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সড়ক ও ফুটপাতে রাখা ইট, বালু, রড ও অন্য নির্মাণসামগ্রী জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো উন্মুক্ত নিলামে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা। মেয়র আতিকুল ইসলাম তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভার সন্ধানে অভিযানে এসে দেখি, বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য সামগ্রী রাস্তার ওপর ও ফুটপাতে রাখা হয়েছে। বালুর কারণে নালা ভরাট হয়ে গেছে। নালার পানি এখন রাস্তায় জমছে।’
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, জনগণের চলাচল বাধাগ্রস্ত করে ফুটপাত ও রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রাখা যাবে না। সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, সরকারি ভবন নির্মাণ প্রকল্প বলেই আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয়, পানি জমে যাতে এডিসের লার্ভা না জন্মায়—এসব বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে। শুধু মিরপুরে নয়, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। কিছুতেই জনগণের ভোগান্তি হতে দেওয়া যাবে না।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জনগণের সচেতনতা জরুরি। এ বছর বর্ষার শুরু থেকেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বিগত সময়ের তুলনায় ডেঙ্গুকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গুকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। কোনোভাবেই স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না। বাসাবাড়ি, বারান্দা ও ছাদবাগান নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।’ আগামী মাস থেকে কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি ছাদবাগানবিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে বলেও জানান মেয়র।
ঢাকা উত্তর সিটির ৪৪টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।