ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারা দেশে ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। আজ সোমবার সকালে বিআইডব্লিউটিএ নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়।
ঢাকা নদীবন্দর ও নৌ নিরাপত্তা ট্রাফিকের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ঢাকা থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন বাংলাদেশ উপকূলমুখী। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল আটটা নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ থেকে আট ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানী ঢাকা, ঢাকার আশপাশের এলাকা, দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাস দুটোই বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।