নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দিতে পারলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে: প্রতিমন্ত্রী

সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদছবি: প্রথম আলো

এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ছাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত আছে। জ্বালানি (তেল, গ্যাস ও কয়লা) সরবরাহের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দিতে পারলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহে অর্থের জোগান একটা বড় বিষয়। এ মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ মোটামুটি একটা জায়গায় আসবে। আগামী সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। দাম বাড়ানো বা কমানো নয়, এটা নিয়মিত সমন্বয় করা হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় চালু হবে। এরপর প্রতি মাসে এটি সমন্বয় হবে। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের জন্য স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণের একই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

করোনা ও যুদ্ধ মিলে জ্বালানি আমদানিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার বাড়তি খরচ করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় আমদানি কমিয়ে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ শুরু হলে পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে।

গ্যাস–সংকটের কথা স্বীকার করে নসরুল হামিদ বলেন, দু–এক দিনের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণে থাকা ভাসমান টার্মিনালটি চালু হলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। তবে ১৮ জানুয়ারি আরেকটি টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণে যাবে, এটা আবার ফিরবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে।

দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানো মূল অগ্রাধিকার হবে বলে জানিয়েছেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিবিয়ানায় নতুন মজুত পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সারা দেশে ৪৬টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে। এরপর আরও ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা আছে। এ বছরের মধ্যে সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করার পরিকল্পনা আছে।