পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদীকে হত্যায় আটজনের যাবজ্জীবন
আট বছর আগে রাজধানীর পল্লবীতে দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসানকে খুন করার দায়ে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন।
দণ্ডিত আট আসামিরা হলেন ফয়সাল, আশিক, রাসেল, মোহাম্মদ ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ। অপর দুই আসামি নান্নু মিয়া ও শাহিনুর বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহাবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে মেহেদীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নিহত মেহেদী হাসানের বাবা মোশাররফ হোসেন। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক লাল।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২০১৪ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর মেহেদীকে পল্লবীতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাঁকে মিরপুরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, আসামিদের মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্র মেহেদীকে হত্যা করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আসামি মোহাম্মদ অলি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১২ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।