ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর
ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার এই আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রান্সকম গ্রুপের কর্মকর্তাদের আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম।
যাঁদের জামিন হয়েছে তাঁরা হলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।
এর আগে পৃথক মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অপর দিকে গ্রেপ্তার পাঁচজনের পক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পাঁচজনের প্রত্যেককে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। একই সঙ্গে আদালত তাঁদের প্রত্যেককে পুলিশ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগপর্যন্ত তিন হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম ও এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক।
এর আগে সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশান থানায় তিনটি মামলা হয়। একই দিন ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে তাঁদের বাসা, অফিসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহানুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গতকাল গুলশান থানায় তিনটি মামলা করেন। এসব মামলায় কোম্পানির শেয়ার ও অর্থসম্পদ নিয়ে প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।