ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত অংশ নির্মাণের উদ্যোগ অনতিবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সংগঠনটি বলছে, মেগা প্রকল্পের বিনিয়োগ ফেরত আনা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এ অংশটি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই এলাকায় বিদ্যমান অতিব্যস্ত সড়কগুলোর উপযোগিতা নষ্ট করবে। একই সঙ্গে এ এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প ওঠানামার কারণে বিভিন্ন মোড়ে যানজট আরও অনেক বেড়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইপিডি বলছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইতিমধ্যে হাতিরঝিল জলাধার ও পান্থকুঞ্জ পার্কের পরিবেশ ধ্বংস করেছে। এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ নির্মিত হলে কাঁঠালবাগান-কাঁটাবন-নীলক্ষেত-পলাশীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সামগ্রিক পরিবেশ ও পরিবহনব্যবস্থা সীমাহীন সংকটে পড়বে।
পৃথিবীর উন্নত ও আধুনিক শহরগুলো নগর এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়িকে প্রাধান্য দিয়ে ফ্লাইওভারকেন্দ্রিক পরিবহন সমস্যা সমাধানের কৌশল থেকে সরে এসেছে উল্লেখ করে আইপিডি বলছে, এখন পরিবহন সমস্যার সমাধান কৌশল হিসেবে ফ্লাইওভারকেন্দ্রিক পরিবহন সমাধান পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করে। পরিবহন, ভূমি ব্যবহার, পরিবেশ ও জনজীবনের পারস্পরিক সম্পর্কজনিত প্রভাব বিশ্লেষণ না করেই ব্যক্তিগত গাড়িকেন্দ্রিক নেওয়া এই সংযোগ সড়কটি সার্বিক জনস্বার্থ রক্ষায় অবিলম্বে বাতিল করা প্রয়োজন বলেও মনে করে আইপিডি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সময়ে পরিবেশগত, পরিকল্পনাগত প্রভাব বিশ্লেষণ ও জনগণের মতামত ছাড়াই যেসব মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর অন্যতম হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এই প্রকল্পের প্রথম দিকের প্রস্তাবে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়ক অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর যথাযথ পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে সংশোধনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, জনগণের এটাই ছিল প্রত্যাশা। অথচ বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন পরিবেশ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত আন্দোলনের এক মাসের বেশি সময় পার হলেও এ বিষয়ে সরকার নীরবতা পালন করছে।