শেষ হলো ভালো থাকার বর্ণাঢ্য উৎসব
‘ভালো থাকার উৎসব’ শেষ হলো দুই দিনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার তৃতীয় তলায় ‘শান্তি বাড়ি’ নামের নারী উদ্যোক্তাদের একটি প্রতিষ্ঠান এ উৎসবের আয়োজন করেছিল।
উৎসব শুরু হয়েছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। সকালে নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক ও আলোকচিত্রী মুনীরা মোর্শেদ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করে। শেষ হয় আজ শুক্রবার রাত আটটায়। বিকেলে ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। উৎসবটি ছিল নারীদের সৃজনশীলতা, দক্ষতা, বাণিজ্যিক উদ্যোগ, স্বাস্থ্য, আইনি সুরক্ষা, স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
উৎসবে ছিল নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর প্রদর্শনী। এর মধ্য ছিল পোশাক, কারুপণ্য, শৌখিন সামগ্রী, ঘর সাজানো ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, বিভিন্ন উপকরণে তৈরি অলংকার, প্রসাধনী, চামড়া, দারুশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্য। এতে ২৭ জন নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। তাঁরা মূলত অনলাইনভিত্তিক বিপণন করে থাকেন। এই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ক্রেতাদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করা ছিল এই আয়োজনের একটি লক্ষ্য।
এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ৪১ জন নারী চিত্রশিল্পী ও ১১ জন নারী আলোকচিত্রীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনীও ছিল এই উৎসবের একটি অংশ। এ ছাড়া উৎসবে অংশগ্রহণকারী নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও আইনি পরামর্শ দেওয়ারও ব্যবস্থা ছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিল আড্ডা, গান, আবৃত্তি, তারকা কথন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও প্যানেল আলোচনা। স্বাগত বক্তব্য দেন শান্তি বাড়ির নির্বাহী পরিচালক শারমিন শামস। ‘আমার জীবন ও লড়াইয়ের গল্প’ শীর্ষক তারকা কথনে অংশ নেন অভিনয়শিল্পী আজমেরী হক বাঁধন। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষক সায়মা হক ও স্নিগ্ধা রেজওয়ানা এবং আইনবিদ মিতি সানজানা। সঞ্চালনা করেন অনির্বাণ ভৌমিক।
আবৃত্তি করেন জান্নাতুল ফেরদৌস, সংগীত পরিবেশন করেন নির্ঝর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শান্তি বাড়ির নতুন ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।