রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খাল উপচে পানি বাসাবাড়িতে

সিত্রাংয়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রামচন্দ্রপুর খালের পানি উপচে পড়ে দুই পাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার রামচন্দ্রপুর খালের পানি উপচে পড়ে দুই পাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। খালপারের রাস্তা, আবাসিক এলাকার ভেতরের রাস্তা ডুবে গেছে। কোনো কোনো ভবনের নিচতলা ও পার্কিংয়ের জায়গায় পানি ঢুকে গেছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামচন্দ্রপুর খালে গিয়ে দেখা যায়, খালের দুই পারে থাকা মেহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেড, নবোদয় হাউজিং, মোহাম্মদিয়া হোমসসহ আশপাশের বস্তি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। খালের ওপরে থাকা সেতুতে প্রায় হাঁটুসমান পানি। পানির কারণে খাল ও রাস্তা আলাদা করা যাচ্ছে না।

মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেডের ২, ৩, ৪, ও ৫ নম্বর সড়কে প্রায় কোমরসমান পানি দেখা গেছে। ওই রাস্তায় রিকশা-ভ্যান ব্যতীত কোনো যানবাহন চলছে না। রিকশা–ভ্যানও চলছে ঠেলে ঠেলে, সাবধানে।
রিকশাচালক আলম মিয়া জানান, গতকাল সোমবার সারা দিনে কোনো পানি জমেনি। রাত ১০টার দিকে খাল ভরে যায়। পড়ে আবাসিক এলাকার ভেতরেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, সকাল থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বড় জোর ৩ ইঞ্চি পানি কমেছে। রাত থেকে ওই অবস্থাতেই আছে বলে তিনি জানান।

সিত্রাংয়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রামচন্দ্রপুর খালের পানি উপচে পড়ে দুই পাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর সড়কের বাসিন্দা কাদির উদ্দিন বলেন, যেসব ভবন পুরোনো এবং যেসব ভবনের নিচতলা উঁচু করা হয়নি, এমন সব বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকেছে। পানি কোথাও সরছে না।
সরেজমিনে খাল দিয়েও পানি নামতে দেখা যায়নি। অনেকটা আবদ্ধ হয়ে থাকার মতো খালের পানিও স্থির ছিল।

খালের পারে মোহাম্মদিয়া আবাসিক এলাকা ও নবোদয় আবাসিক এলাকাতেও জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। রামচন্দ্রপুর খালের পারে দিয়ে নবোদয় আবাসিক এলাকার বাজারের দিকে যাওয়া পুরো সড়কটি পানিতে ডুবে রয়েছে। ওই সড়ক দিয়েও যানবাহন চলছে না। লোকজন রিকশা কিংবা ভ্যানে করে যাতায়াত করছেন। ভ্যানে করে ২০ টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের নেওয়া হচ্ছে।

নবোদয় হাউজিংয়ের বাসিন্দা হাসনাত উদ্দিন বলেন, ‘বাসার নিচে সড়কে প্রায় কোমরসমান পানি। আধঘণ্টা নিচে দাঁড়িয়ে থেকে একটি রিকশা পেয়েছি। ভাড়া তিন গুণ বেশি দিতে হচ্ছে।’ তবে তিনি বলেন, পানির মধ্যে চালক রিকশা চালতে পারছেন না। পুরো পথ তিনি রিকশা ঠেলে নিয়ে এসেছেন।