পালিয়ে মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল গৃহকর্মী আইরিন, আটকে গেল সাততলার কার্নিশে

সাততলার কার্নিশে আটকে পড়া কিশোরী। আজ সকালে রাজধানীর ভাটারায়
ছবি: ফায়ার সার্ভিসের সৌজন্যে

মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল মেয়েটি। গৃহকর্ত্রীর অনুমতি পায়নি। উল্টো দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন তিনি। অবুঝ কিশোরী বারান্দার পাইপ বেয়ে বাড়ির ছাদে ওঠার চেষ্টা করে। সেখান থেকেই পালানোর কথা ভেবেছিল।

কিন্তু সাততলা পর্যন্ত ওঠার পর কার্নিশে আটকে যায় সে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে উদ্ধার করেন আইরিন (১৪) নামের এই গৃহকর্মীকে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ভাটারার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা অঞ্চল-৩-এর উপসহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি খবর পান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৩ নম্বর বাড়ির ১০ তলা ভবনের সপ্তম তলায় একটি আবাসিক ফ্ল্যাটের কার্নিশে এক কিশোরী আটকে পড়েছে।

খবর পেয়ে বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। আধা ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আইরিনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে তাকে ভাটারা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মেয়েটির বাবার নাম আল আমিন। বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বিলকাউশীতে।

ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম এ জাহিদ বলেন, আইরিন ১৪৩ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার বাসিন্দা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। নারী ওই কর্মকর্তার স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত। আইরিন তার মায়ের কাছে যেতে চাচ্ছিল। কিন্তু ওই কর্মকর্তা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় বাসার বাইরে থেকে তালা দিয়ে যেতেন।

তাই আইরিন পালানোর সুযোগ পাচ্ছিল না। এ কারণে আইরিন পঞ্চম তলার বারান্দা থেকে পানির পাইপ বেয়ে ছাদে উঠতে চেয়েছিল। ছাদে উঠতে পারলে সেখান থেকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে সে পালিয়ে যাবে—এমনটাই ভেবেছিল। কিন্তু ওপরে দুইতলা ওঠার পর সাততলার কার্নিশে গিয়ে আটকে যায় সে। আইরিনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।