পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ‘অগ্রগতির’ কথা জানাল র্যাব
জঙ্গিদের খোঁজে পাহাড়ে ‘সমন্বিত’ অভিযানে ‘বেশ অগ্রগতি’ হয়েছে ও কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনার তথ্য জানাতে পারার কথা বলেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘র্যাবের অপারেশনাল কার্যক্রমে বেশ অগ্রগতি হয়েছে, বেশ কিছু দূর পর্যন্ত চলে এসেছি। আশা করছি, কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনতে পারব।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে জোরালো অভিযান চলছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এলাকা দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যটক এখানে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করেন। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় পর্যটকদের যেতে নিষেধ করছেন।’
নতুন একটি জঙ্গি দলের ‘পাহাড়ি যোগের’ তথ্য সামনে আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে এই ‘সমন্বিত’ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। অভিযানের অংশ হিসেবে দুর্গম এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে, চলছে মাইকিং।
কমান্ডার মঈন বলেন, “‘হিজরতের” নামে যাঁরা বাসা থেকে বের হয়েছেন, তাঁদের যাঁরা উদ্বুদ্ধ করেছেন, যাঁরা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা জানতে পেরেছি, নিরুদ্দেশ ৫৫ জঙ্গি পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ও অবস্থান করছে। এদের ৩৮ জনের একটি তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই পার্বত্য এলাকায় আমরা অভিযান শুরু করেছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের যে তথ্য, তাতে দুর্গম অঞ্চলে স্থায়ী হতে সাপোর্ট লাগে। যে কেউ গিয়ে সেখানে স্থায়ী হতে পারবে না। এ জন্যই বিচ্ছিন্নতাবাদী কিছু সংগঠন নিরুদ্দেশ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও রসদ সরবরাহ করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেগুলো গুজব মনে হয়েছে উল্লেখ করে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘কিছু কিছু ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে; সেসব পেজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো ভুল তথ্য।’