জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন উদ্যমে কাজ করছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানছবি: সংগৃহীত

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। তিনি বলেন, আইন ও বিধির মধ্য থেকে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শহীদ এসআই শিরুমিয়া মিলনায়তনে ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগ আয়োজিত বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। বক্তব্যের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে স্মরণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গকারী ও আহত পুলিশ সদস্যদের।

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, ‘রাজারবাগ পুলিশ লাইনস একটি ঐতিহ্যবাহী ও পবিত্র স্থান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের সূচনা এখান থেকেই হয়েছিল। ডিএমপি হলো বাংলাদেশ পুলিশের দর্পণস্বরূপ। ডিএমপির প্রতিটি সাফল্য ও অর্জন বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে অনুপ্রাণিত করে।’

মাইনুল হাসান বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাষ্ট্র যে দায়িত্ব দেয়, তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। পুলিশের প্রতিটি কাজ আইন ও বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আইনের বাইরে পুলিশের কাজ করার সুযোগ নেই। আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে।’

কল্যাণ সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা তাঁদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা ডিএমপি কমিশনারের কাছে পেশ করেন। পুলিশ কমিশনার সবার বক্তব্য মনোযোগসহকারে শোনেন এবং প্রতিটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

ডিএমপি কমিশনার জানান, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসকে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি ফোর্সের কল্যাণে যা করা প্রয়োজন, তাই করা হবে। ফোর্সের মনোবল ও কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। তা ছাড়া মেসে উন্নত খাবার ও ব্যারাকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।

ডিএমপিতে নতুন যোগদান করা পুলিশ সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘দেশ ও জাতির  স্বার্থে পুলিশ সদস্যদের সব ত্যাগ মেনে নিতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং জনগণকে সেবা দেওয়ার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।’

সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, ‘কেউ পুলিশের শত্রু নয়, জনগণ পুলিশের বন্ধু। পুলিশের কাজ হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। এর জন্য ডিএমপির সব পুলিশ সদস্যের রাতদিন কাজ করতে হবে। পুলিশের কাজই হচ্ছে মানুষের সেবা দেওয়া।’

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিশেষ কল্যাণ সভা শুরু হয়। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রওনক আলম।

কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, সংশ্লিষ্ট উপপুলিশ কমিশনার ও ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।