ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চান আদালত
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটি জানতে চেয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামান আজ সোমবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহেমেদ আলী সালাম।
মীর আহমেদ আলী বলেন, ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গত বছরের আগস্টে দুদকের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। ওই বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, এ ব্যাপারে প্রতিবেদন চেয়েছেন আদালত।
পিপি মীর আহমেদ আরও বলেন, এখনো ওয়াসার এমডিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের বিষয় আদালত কোনো আদেশ দেননি।
আদালত সংশ্লিষ্টসূত্র বলছে, আগামী ৪ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী গাফফার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা নিতে গত বছরের ১০ নভেম্বর ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। ওই মামলা নেওয়ার আবেদনের আগে বাদীপক্ষ দুদকের কাছে যে অভিযোগ করেছিল, এ বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটি প্রতিবেদন আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ওয়াসার এমডিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করেন ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সরকার।
মামলায় অন্য যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা হলেন ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অন্য আসামিরা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।