জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন সংস্কারের প্রস্তাব এইচআরএফবির
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা প্রদান ও আইন সংস্কার সাপেক্ষে নতুন কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে এইচআরএফবি।
মঙ্গলবার আইন উপদেষ্টার কাছে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইচআরএফবি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যকর ভূমিকা, স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক বাছাইসহ নানা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এক যুগেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা ও আলোচনা সাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পেশ করেছে এইচআরএফবি।
প্রস্তাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯–এর সংস্কার করে কমিশন গঠনের জন্য বাছাই ও নিয়োগ প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানোর জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবে মানবাধিকার, আইন ও বিচারসংক্রান্ত কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, মানবাধিকারের মূলনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও চর্চা সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। চেয়ারপারসনসহ সাত সদস্যের সবাইকে স্থায়ী সদস্যপদ প্রদান ও চার বছরের জন্য নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
উল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি পরপর দুইবার যাতে কেউ কমিশনের প্রধান হতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইন, বিচার, নারী, শিশু ও লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী, বিভিন্ন জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এইচআরএফবির প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ক্ষেত্রে (ধারা ১৮) কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেবে। প্রয়োজনে সময় বাড়ানো যাবে। তবে অতিরিক্ত সময়সীমার পরও প্রতিবেদন পাওয়া না গেলে বা প্রাপ্ত প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১৭ অনুযায়ী কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। কমিশন যেন সাক্ষীদের সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেয়, প্রয়োজনে সাক্ষীর পরিচয় গোপন রাখে বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে।