সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হয়েছে। এ ঘটনায় আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
বিকেলে এই বিস্ফোরণের খবর জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল বলা হয়েছিল গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারের পাশে।
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দুটি থেকে আহত শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে নিহত ১৮ জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এঁদের মধ্যে ১৭ জনের নাম–পরিচয় হাসপাতালের রেকর্ড বইয়ে নথিভুক্ত রয়েছে। বাকি একজনকে স্বজনেরা আগেই নিয়ে যান। তবে তাঁর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া সম্রাট (২৮) নামের ওই ব্যক্তি এই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। তিনি বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হওয়া সাততলা ভবনের একটি দোকানে কাজ করতেন। দোকান মালিক সুমন (২১)ও মারা গেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেছেন, বিস্ফোরণে নিহত একজনের লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। তবে তিনি সম্রাট কি না তা তাঁর জানা নেই।
এদিকে রাতেই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর শুরু হয়েছে। রাত পৌনে ১২টার মধ্যে দুজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের লাশ প্যাকেটবন্দী করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত দুজন নারী। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে গত রোববার ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। তার আগের দিন শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণ ও আগুন লেগে এ পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।