আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ক্যাবের ৮ দফা
দেশে আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আট দফা দাবি তুলে ধরে ক্যাব। ক্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে নিত্যপণ্যের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার অনেক বিষয় সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু বাজারব্যবস্থা সংস্কারে হাত দিচ্ছে না। বাজারব্যবস্থা সংস্কার ছাড়া প্রচলিত ব্যবস্থা সচল রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ক্যাবের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত মুনাফাভোগীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাজারে অস্থিরতা কমছে না। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাজারে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকারের (আওয়ামী লীগ) যদি পতন হতে পারে, তাহলে সিন্ডিকেট কেন ভাঙবে না? এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নিন, ভোক্তাদের স্বস্তি দিন।
সভাপতির বক্তব্যে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, ভরা মৌসুমেও আলু-পেঁয়াজের দাম চড়া। খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও বাজারে তা পাওয়া যাচ্ছে। ডিমের বাজার বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি। তারা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। এখানে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ বিষয়ে আইন আছে, কিন্তু তার বাস্তবায়ন নেই। এর কারণে বাজার অস্থির।
অন্য বক্তারা বলেন, উৎপাদিত নতুন আলু কৃষক কম দামে বিক্রি করলেও হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম এখনো বেশি। এ কারণে খুচরা বাজারেও পণ্যটির দাম কমেনি। হিমাগার পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকি না থাকায় আলুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যটির দাম কমার কথা থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তারা সে সুফল পাচ্ছেন না।