পুলিশ কখনোই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দেয়নি: ডিএমপি
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলেছে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ কখনোই তালা দেয়নি। এ–সংক্রান্ত প্রমাণ পুলিশের কাছে আছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে পুলিশ তালা দিয়েছে বলে যে দাবি বৃহস্পতিবার সকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী করেছেন, তা সত্য নয়।
বিএনপি এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আড়াই মাস পর বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্ব তালা ভেঙে দলের কার্যালয়ে ঢোকেন নেতা-কর্মীরা।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে কর্মসূচিটি পণ্ড হয়ে যায়। সেদিন থেকে দলটির কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলছিল।
ডিএমপি বলছে, কার্যালয়ের ফটকের তালার চাবি ফেরত পাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বুধবার ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি পত্র পাঠান রুহুল কবির রিজভী। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কার্যালয়ে পুলিশ তালা দিয়ে রেখেছিল।
ডিএমপি বলছে, বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশ কখনো তালা দেয়নি। বিষয়টি একাধিকবার স্পষ্ট করা হয়েছে। এরপরও এ নিয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর সমাবেশ শেষে সে রাতে কার্যালয়েই ছিলেন ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী সোহাগ। পরদিন সকালে ফটকে তালা লাগিয়ে চলে যান তিনি। ফলে তালা দেওয়া নিয়ে রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ও চাবি ফেরত চাওয়ার এই পত্র যথাযথ নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহুল কবির রিজভী সকালে একটি হাতুড়ি দিয়ে এক মিনিটের চেষ্টায় বিএনপি কার্যালয়ের মূল ফটকের তালা ভাঙেন। পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির অভিযোগ করেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছিল।
এরপর পুলিশ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। দুই মাসের বেশি সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি, আশপাশে ভিড়লেও তাঁদের আটক করে নিয়ে গেছে। পুলিশ চাবি না দেওয়ায় তালা ভেঙে তাঁরা কার্যালয়ে ঢুকেছেন।