ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মাসের জেল
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে তিন মাসের জেল এবং আরেকটি বাড়ি সিলগালা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বাড়ির আঙিনা ও অভ্যন্তরে প্রচুর পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা থাকায় একই এলাকায় আরেকটি ভবনের মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-২ (খিলগাঁও)–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জোয়ের তত্ত্বাবধানে করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেল ও জরিমানা করেন।
অভিযানে খিলগাঁও এলাকায় আজ ৩৮টি ভবন পরিদর্শন করা হয়। এ সময় দুটি ভবনে এডিস মশার প্রচুর লার্ভা পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত দুটি ভবনের মালিককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন এবং অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একটি ভবনের মালিক আরোপিত অর্থদণ্ড প্রদান করেন। আরেকটি ভবনের মালিক তা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে ভবনমালিকের ভাগনে ও ভবনটির তত্ত্বাবধায়ক সুলতানকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে খবর আসে, ‘বাতায়ন’ নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানির নির্মাণাধীন ভবনে প্রচুর লার্ভা রয়েছে। পরে আদালত সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ভবনটির কার্যক্রম ও তদারকির সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে ভবনটির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে চলে গেছেন। এ সময় আদালত ভবনটি সিলগালা করে দেন।
অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-২–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো বলেন, ‘জেল–জরিমানা করে মানুষকে এডিস মশার প্রকোপ হতে রক্ষা করা যাবে না। আমরা কাউকে জেল–জরিমানা করতেও চাই না। কিন্তু কোনো মানুষ যখন ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটার সহায়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে, তখন আমরা বাধ্য হয়ে তাঁদের দণ্ড আরোপ করি।’
দক্ষিণ সিটির অন্যান্য অঞ্চলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। আজ মোট ৮৩টি বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৬টি বাসাবাড়ি ও ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মোট ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।