হরিজন সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ ৬০ বিশিষ্টজনের
পুরান ঢাকার মিরনজিল্লা এলাকা থেকে হরিজন সম্প্রদায়কে উচ্ছেদে সিটি করপোরেশনের অভিযানে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের ৬০ জন নাগরিক। তাঁরা বলেছেন, কাঁচাবাজার করার নামে হরিজনদের কলোনির একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া শুধু অমানবিক নয়, তা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠানো হয়। বিবৃতিতে পুনর্বাসন ছাড়া হরিজন সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ না করার দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বস্তি উচ্ছেদ মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে যে পুনর্বাসন ছাড়া কোনো বস্তি বা কলোনি উচ্ছেদ করা যাবে না। কারণ, সংবিধানে জনগণের বাসস্থানের অধিকার রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কলোনিতে বসবাস করা লোকজন বলছেন, ৪০০ বছর আগে তাঁদের পূর্বপুরুষদের এই অঞ্চলে পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য আনা হয়। বর্তমানে সাত শতাধিক পরিবার এই কলোনিতে গাদাগাদি করে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে পাঁচ শতাধিক পরিবারের সদস্য সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত। বাদবাকি দুই শতাধিক পরিবারের সদস্যের সবাই কোনো না কোনো সময়ে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। হরিজন সম্প্রদায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানা এই কলোনি। হরিজন সম্প্রদায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর মিরনজিল্লা হরিজন সিটি কলোনিভুক্ত জায়গায় বসবাসকারীদের জন্য আবাসিক ভবন ছাড়া কোনো বাণিজ্যিক ভবন কিংবা বিপণিবিতান না করার অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধূরী, খুশী কবির, জেড আই খান পান্না, ইফতেখারুজ্জামান, রানা দাশগুপ্ত, শহিদুল আলম, মেঘনা গুহঠাকুরতা, শাহদীন মালিক, স্বপন আদনান, আসিফ নজরুল, গীতি আরা নাসরিন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সারা হোসেন, নূর খান, রোবায়েত ফেরদৌস, মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান, জোবাইদা নাসরীন, মাকসুদুল হক, ফস্টিনা পেরেরা, দীপায়ন খীসা প্রমুখ।