রাজধানীতে গণপরিবহন কম, সড়ক প্রায় ফাঁকা
রাজধানীর সাতমসজিদ সড়কের জিগাতলা থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ঘুরে গুনে গুনে পাঁচটি বাস দেখা গেল। তখন ঘড়িতে সকাল ১০টা। যে বাসগুলো দেখা গেল, সেগুলোতে যাত্রীসংখ্যাও খুব বেশি নয়। জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডে সকালে বাসের জন্য অপেক্ষারত যে ভিড়টা থাকে, সেটাও আজ নেই। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বাস, অটোরকিশা, ব্যক্তিগত যানবাহন চলতে দেখা যায়।
আজ শনিবার দেশের দুই বড় দলই সমাবেশ ডেকেছে রাজধানীতে। এর সঙ্গে ছোট ছোট দলও মাঠে আছে। এই সমাবেশকে ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরপাকড় করছে, তল্লাশি চালাচ্ছে। বাহিনীগুলো নিজেদের লোকবলও বাড়িয়েছে ঢাকায়।
সড়কে বাসের সংখ্যা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশ কম। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রমজান পরিবহনের কর্মী মো. রুবেলের সঙ্গে। বাস কম চলাচলের বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজকে তো মানুষ এমনই কম। আর শাহবাগের পর তো যাওয়া যাইবো না। রাস্তায় নাইমা লাভ নাই।’ এতে দিনে উপার্জনের টান পড়বে কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘এগুলো বইলা তো আর লাভ নাই।’
সমাবেশ ঘিরে মানুষের মনেও অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শাহ আলম নামের এক বেসরকারি কর্মজীবী। তিনি যাবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক স্বজনকে দেখতে। কিন্তু ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি। শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, বাসা থেকে বের হওয়া নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। তবে সকাল সকাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে ভেবে বের হয়েছেন। বাস না পেয়ে পরে তিনি রিকশায় রওয়ানা হোন।
বেলা ১১টা পর্যন্ত সড়কের মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, কলাবাগান এলাকা ঘুরে গণপরিবহন চলাচল তুলনামূলক কম দেখা যায়। কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছিল। সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও আজ ঢিলেঢালা।
কলাবাগানে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন মোরশেদ মোল্লা। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনি একজন যাত্রীই পেয়েছেন। তিনি বের হয়েছিলেন সকাল ৯টায়। মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, আজকে লোকজন কম পাবেন, সেটা ধরে নিয়েই বের হয়েছেন। দূরের কোনো যাত্রী বহন করছেন না। মুঠোফোনে খোঁজ রাখছিলেন সমাবেশের পরিস্থিতির দিকে। অবস্থা বুঝে বাসায় ফিরে যাবেন।