ঢাকার মিরপুরের পল্লবী এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার পোশাকশ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মাঠে নামা সেই যুবলীগ নেতার বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার ‘সময় পায়নি’ পুলিশ।
ওই যুবলীগ নেতা হলেন আওলাদ হোসেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক।
জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তো আন্দোলন দমাতেই সময় পাচ্ছি না, খোঁজখবর নেব কীভাবে?’
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল পল্লবী এলাকায় বিক্ষোভরত পোশাকশ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে মাঠে নেমেছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে যুবলীগের নেতা আওলাদ হোসেন ওরফে লাক্কুকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা গেছে। আওলাদ কয়েকটি গুলিও ছুড়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওলাদ হোসেন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। তিনি মিরপুর অঞ্চলের বিভিন্ন পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।
আওলাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আওলাদ হোসেন তাঁদের কমিটিতে সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে আছেন। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন না। তাঁকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। কারণ, তিনি সন্ত্রাসী ও খারাপ লোক এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতি করেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আওলাদ হোসেন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কয়েকটি গুলি ছুড়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওলাদ গতকাল মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, মঙ্গলবার সকালে পোশাককর্মীদের সঙ্গে যখন ঝামেলা হয়, তখন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি অফিসে ছিলেন। তবে তাঁর লাইসেন্স করা একটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে স্বীকার করে আওলাদ হোসেন বলেন, সেই অস্ত্র তিনি এভাবে জনসমক্ষে বের করতে পারেন না।