ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নিয়োগে তাপসের পছন্দই শেষ কথা

শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র থাকার সময় গত সাড়ে চার বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বেশির ভাগ নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনাই ছিল মুখ্য।

শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ‘সহকারী সচিব’ পদে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে নিয়োগ পান ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আসিফ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন পদে আবদুল্লাহর মতো অন্তত ২০০ জনের চাকরি হয়েছে দলীয় বিবেচনায়। তাঁদের নিয়োগ হয়েছে ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মধ্যে। তখন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি মেয়র নির্বাচিত হন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, দায়িত্ব নেন ওই বছরের মে মাসে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দুই দিন আগে গোপনে দেশ ছাড়েন তিনি। এখন তিনি সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

দীর্ঘ সময় ধরে অনিয়ম নিয়ে কথা না বলা এবং বাধা দেওয়ার লোক না থাকায় স্বজনপ্রীতি, পছন্দের মানুষ ও দলীয় পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এম হাফিজউদ্দিন খান, সভাপতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিষয়টি দেখভাল করে সচিবের দপ্তর। এই দপ্তরের একাধিক সূত্র জানায়, তাপস মেয়র থাকার সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন পদে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় ৮১৩ জনকে। অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয় আরও ২৯৬ জনকে। নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়ের বিষয়টিই ছিল মুখ্য।

‘সহকারী সচিব’ পদে ২০২২ সালে নিয়োগের সময় লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী (নাম প্রকাশ করতে চাননি)। তিনি গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশনের ‘সহকারী সচিব’ (প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদার কর্মকর্তা) পদে মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা চারজন। মৌখিক পরীক্ষায় সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ বোর্ডের অন্য কর্মকর্তারা তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে নানাভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করেন। তখনই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর চাকরি হবে না। তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছিলেন ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আসিফ। পরে তাঁর চাকরি হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ওই শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরে নন–ক্যাডারে চাকরি পান।

পছন্দের প্রার্থীর তালিকা হতো

তাপস মেয়র থাকার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন কর্মকর্তার সঙ্গে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কথা বলেছে প্রথম আলো। নাম না প্রকাশ করার শর্তে তাঁরা বলেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রায় প্রত্যেককেই ‘কায়দা করে’ লিখিত পরীক্ষায় পাস করানো হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তাঁরা।

দক্ষিণ সিটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, তাপস মেয়র থাকার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন পদে কাকে নেওয়া হবে, সেটি তিনি নিজেই চূড়ান্ত করতেন। এরপর তাঁর পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের কাছে দিতেন। সে অনুযায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা করতেন তিনি। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার খাতাও তিনি দেখতেন। সাবেক মেয়রের কথামতো নিয়োগের পুরো বিষয় তত্ত্বাবধান করতেন তিনি।

মৌখিক পরীক্ষায় সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ বোর্ডের অন্য কর্মকর্তারা তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে নানাভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করেন। তখনই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর চাকরি হবে না। তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছিলেন ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আসিফ। পরে তাঁর চাকরি হয়।

তাপস মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর আকরামুজ্জামানকে প্রেষণে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব করা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি নগর ভবনে আসা বন্ধ করে দেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁকে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডে বদলি করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে আকরামুজ্জামানের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। তবে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেননি।

দলীয় বিবেচনায় এবং অনিয়ম করে নিয়োগের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এলে সেটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে প্রথম আলোকে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

‘লাভজনক পদে’ তাপসের লোক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের ‘উপকর কর্মকর্তা’ পদটি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদ। এই পদে সাবেক মেয়র তাপস গত চার বছরে নয়জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে সাতজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

দক্ষিণ সিটির রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘উপকর কর্মকর্তা’ পদটি খুবই লাভজনক পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বাসাবাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের কর নির্ধারণের কাজ করেন তাঁরা। কাজটি করতে গিয়ে নানা রকম সুবিধা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

দক্ষিণ সিটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, তাপস মেয়র থাকার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন পদে কাকে নেওয়া হবে, সেটি তিনি নিজেই চূড়ান্ত করতেন। এরপর তাঁর পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের কাছে দিতেন। সে অনুযায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা করতেন তিনি।

রাজস্ব বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ‘উপকর কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ পাওয়া মুন্সি গিয়াস উদ্দিন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জে। গিয়াস গত মেয়র নির্বাচনের সময় তাপসের পক্ষে কাজ করেছেন। ‘পুরস্কার’ হিসেবে পরে তাঁকে এই পদে বসানো হয়। একইভাবে দক্ষিণ সিটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন নেতার মেয়ে সাদিয়া সারওয়ার আলী, নিউমার্কেট এলাকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রফিকুল ইসলামকেও ওই পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘উপকর কর্মকর্তা’ পদে চাকরি পাওয়া সৈয়দ সাদমানের পরিবারের সঙ্গে সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমের জামাতা তাসিম হাসানকেও উপকর কর্মকর্তা করা হয়েছে।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মধ্যে সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদও রয়েছে। এ পদে চারজনকে নিয়োগ দিয়েছেন তাপস। তাঁদের মধ্যে শিহাব উদ্দিন কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।

রাজস্ব বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ‘উপকর কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ পাওয়া মুন্সি গিয়াস উদ্দিন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জে।

দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ

দক্ষিণ সিটির রাজস্ব বিভাগের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এই বিভাগে রাজনৈতিক বিবেচনায় গত ৪ বছরে ১০৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অনেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। আবার কেউ নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

করপোরেশন সূত্র বলছে, দলীয় বিবেচনায় যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগ মেয়র তাপসের লোক পরিচয় দিয়ে রাজস্ব বিভাগে প্রভাব খাটাতেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁদের কেউ কেউ অফিসে আসছেন না। অনেকে ‘চুপ’ হয়ে গেছেন।

মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর ৩১ জনকে পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ দেন তাপস। তাঁদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পাঁচজন। অন্যরা বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবিরে চাকরি পেয়েছেন বলে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

একটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজ তত্ত্বাবধান করেন পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক। এই পদে নিউমার্কেট থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা খলিলুর রহমানও পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক পদে চাকরি পেয়েছেন। আরেকজন পরিদর্শক রাসেল হাওলাদারের বাবা এলিফ্যান্ট রোড ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে গত সাড়ে চার বছরে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এর তদন্ত হওয়া উচিত। শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া অন্যায়। এসব নিয়োগ নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। অনিয়মের প্রমাণ পেলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান

হাতিরঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাদিম শিকদারেরও চাকরি হয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। তিনি এখন একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে কাজ করছেন। অবশ্য ৫ আগস্টের পর তিনি নগর ভবনে আসছেন না। এ ছাড়া রেভিনিউ সুপারভাইজার পদে ২৬ জন, লাইসেন্স সুপারভাইজার পদে ৭ জন, রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ৭ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ২৫ জন, হিসাব সহকারী পদে ২২ জন—এই ৮৭টি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায়। এসব পদে নিয়োগ বিগত সব মেয়রের সময়ই দলীয় বিবেচনায় হতো বলে জানান সিটি করপোরেশনের মেয়রের দপ্তরের কর্মকর্তারা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ রহমানকে ‘ব্যক্তিগত সহকারী’র পদে চাকরি দিয়েছেন তাপস। তিনি তাপসের সহকারী একান্ত সচিব নাছিরুল হাসানের খালাতো ভাই। মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তাপস সংসদ সদস্য ছিলেন। তখন তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতেন মো. আফজাল। তাপস মেয়র হওয়ার পর আফজালকে দক্ষিণ সিটিতে মেয়র দপ্তরে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ‘রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম একসময় ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। একই পদে নিয়োগ পাওয়া শ্রাবনী আক্তার ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার স্ত্রী।

একটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজ তত্ত্বাবধান করেন পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক। এই পদে নিউমার্কেট থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা খলিলুর রহমানও পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক পদে চাকরি পেয়েছেন।

দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা দরকার

দীর্ঘ সময় ধরে অনিয়ম নিয়ে কথা না বলা এবং বাধা দেওয়ার লোক না থাকায় স্বজনপ্রীতি, পছন্দের মানুষ ও দলীয় পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে গত সাড়ে চার বছরে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এর তদন্ত হওয়া উচিত। শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া অন্যায়। এসব নিয়োগ নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। অনিয়মের প্রমাণ পেলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।